ভোগান্তি নিয়ে ট্রাকে বাড়ি ফিরছে মানুষ
সিরাজগঞ্জ: প্রিয়জনের সঙ্গে পবিত্র ইদুল ফিতরের আনন্দ উপভোগ করতে বাধা-ভোগান্তি পেরিয়ে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। বাস ছাড়াও ট্রাক, পিকআপ ও মোটরসাইকেলে যে যেভাবে পারছেন সেভাবেই বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
বাসে অতিক্তি ভাড়া নেওয়ায় অনেকেই প্রচণ্ড রোদের মধ্যে ট্রাকের ছাদে চড়ে বাড়ি যাচ্ছেন।
রোববার (১ মে) সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় এলাকায় কথা হয় কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে। তারা বলেন, বাসের ভাড়া অনেক বেশি। তাই ট্রাকে চড়েই যাচ্ছেন বাড়ি। দুর্ভোগ জেনেও পরিবারের সঙ্গে ইদ করার জন্যই বাড়িতে যাওয়া।
সুজন হোসেন নামে একজন বলেন, বাস এবং মাইক্রোর ভাড়া বেশি, তাই এই প্রচণ্ড রোদে স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে নিয়ে ইদের আনন্দ উপভোগ করতে বাড়ি যাচ্ছি।
গাড়ি যখন ব্রেক ধরে তখন ছেলে-মেয়ে একজন অন্যজনের উপর যেয়ে পড়ে। খুব কষ্ট করে ঢাকা থেকে এভাবেই যাচ্ছি।
বেসরকারি চাকরিজীবী রবি ও তার স্ত্রী জানান, তিন বছর করোনার কারণে পরিবারের সঙ্গে ইদ করতে যেতে পারেননি তারা। তাই এবার যাচ্ছেন। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার যানজট নেই।
ট্রাকচালক বেলাল হোসেন বলেন, `ঢাকায় কাঁচামাল নামিয়ে যাত্রী নিয়ে বগুড়ায় যাচ্ছি। বাসের ভাড়া দ্বিগুণ হওয়ায় অনেকেই ট্রাকে বাড়িতে যাচ্ছেন ইদ করতে,।
ট্রাকে ভাড়া কতো জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের নির্দিষ্ট কোনো ভাড়া নেই, যে যেমন দিচ্ছে তাই নিচ্ছি। খালি ট্রাক নিয়ে আসার চেয়ে কিছু যাত্রী নিয়ে ফিরছি।
সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান সালেক বলেন, ইদে ঘরফেরা মানুষ বহনকারী যানবাহনের সংখ্যা দিনদিন বেড়ে চলেছে। রোদে পুড়েও মানুষ বাস, ট্রাক, পিকআপ ও মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছে।,
এ মহাসড়কের ঝাঐল এলাকা থেকে নলকা মোড় পর্যন্ত একটু ধীরগতি রয়েছে। তবে যানজট বলতে যেটা বোঝায় সেটা সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে নেই। `সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বলেন, গত দুই বছর করোনার কারণে অনেক মানুষই ইদে ঘরে ফিরতে পারেনি। তাই তারা যেভাবে পারছেন বাড়িতে যাচ্ছেন। যারা ট্রাকে যাচ্ছেন তাদের রোদে একটু কষ্ট হলেও নিরাপদে বাড়িতে ফিরছেন।,
তিনি আরও বলেন, `সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে প্রায় ৬০০ পুলিশ মাঠে রয়েছে। যানজট নিরসনে তারা রাত দিন কাজ করে যাচ্ছে।,
The post appeared first on Sarabangla http://dlvr.it/SPYmRM
এই পোস্টটি শেয়ার করুন