পূর্বধলায় প্রতিপক্ষের হামলায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ আহত ৩
পূর্বধলা (নেত্রকোনা) সংবাদদাতা : নেত্রকোনার পূর্বধলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় লিটন মিয়া (৩৫) পলাশ দত্ত (৩০) ও হিমেল সরকার (৩২) নামের তিন ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
আহত লিটন মিয়া উপজেলার হোগলা ইউনিয়নের দামপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুল হেকিম কমান্ডােরর ছেলে, পলাশ দত্ত উপজেলা সদরের বালিকা বিদ্যালয় রোডের প্রানেশ দত্তের ছেলে ও হিমেল সরকার একই এলাকার বালিকা বিদ্যালয় রোডের মৃত হিমাংসু সরকারের ছেলে।বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে উপজেলা সদরের এসিল্যান্ড অফিস (পুরাতন কোর্ট বিল্ডিংয়ের) সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে । সেখানে লিটন মিয়া ও পলাশ দত্তর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় ।
স্থানীয়রা জানায়, দিকজান গ্রামের বকুল ফকির কিছুদিন আগে দুই দফায় তার দখলে থাকা রেলওয়ের ৭শতাংশ জমি উপজেলা সদরের বালিকা বিদ্যালয় রোডের বাসিন্দা মেহেদী হোসেন ওরফে কাচ মিয়ার কাছে পজেশন হস্তান্তর করেন । এরমধ্যে ৫ শতাংশ জমির দখল বুঝিয়ে দিলেও পরে ক্রয়কৃত ২ শতাংশ জমি বুঝিয়ে দিতে বকুল ফকির কাল ক্ষেপণ করে আসছিলেন। এই নিয়ে মেহেদী হোসেন কাচ মিয়ার ছেলেদের সাথে বকূল ফকিরের বিরোধ চলে আসছিল । এই নিয়ে এলাকাবাসী বিচার সালিশে বসলেও বকুল ফকির পরে ক্রয়কৃত ২ শতাংশ জায়গার দখল দিতে অস্বীকার করেন।
পরে গত বুধবার মেহেদী হোসেন কাচ মিয়ার ছেলে পরাগ, ফরহাদ মিয়া ও তার আত্মীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান লিটন মিয়া, প্রতিবেশী পলাশ দত্ত ও হিমেল সরকারকে নিয়ে ক্রয়কৃত জায়গায় খুঁটি ঘাড়তে গেলে বকুল ফকির ক্ষুব্ধ হয়ে তার লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ফরহাদ মিয়াসহ তার সাথে থাকা লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত বকুল ফকিরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি। পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন , এ ঘটনায় আহত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান লিটন মিয়ার বড় ভাই চন্দন মিয়া বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন । তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।