ইদ ঘিরে বর্ণিল সাজে কুয়াকাটা, গতি ফিরবে পর্যটন ব্যবসায়
কুয়াকাটা: ইদুল ফিতরের ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হবে সূর্যোদয় সূর্যাস্তের বেলাভূমি ‘সাগরকন্যা’ খ্যাত কুয়াকাটা। গত দুই বছর মহামারি করোনার কারণে পর্যটকশুন্য ইদ উদযাপন করেছে পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এরমধ্যে মহামারির মন্দা কাটিয়ে এবারের ইদে ব্যবসা-বাণিজ্য গতি পাবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
এরইমধ্যে ৮০ শতাংশ হোটেল মোটেল কক্ষ বুকিং হয়েছে বলে হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও সেবা দিতে প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পৌর কর্তৃপক্ষ।
সবমিলিয়ে ইদের আগে খুশির ছোঁয়া দেখা গেছে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
এরইমধ্যে তারা সাজিয়ে নিচ্ছেন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ। কেনাবেচার জন্য তৈরি রয়েছে রাখাইন মহিলা মার্কেট, ঝিনুক মার্কেট, বার্মিজ আচার, কাঁকড়া ফ্রাই। পর্যটকদের ছবি তোলার জন্য প্রস্তুত ক্যামেরাম্যানসহ, চটপটি ফুচকার দোকানে দেখা গেছে মানুষের আনাগোনা, কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণ পিপাসা মেটানোর জন্য কাজ করতে প্রস্তুত, মোটরসাইকেল ড্রাইভার, অটোরিকশা চালক, কুয়াকাটা থেকে সমুদ্রপথে বিভিন্ন দ্বীপ ও বনাঞ্চল ভ্রমণ করানোর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ট্যুরিস্ট বোট, স্পিড বোট এবং ওয়াটার বাইক।
কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে পূর্ব ও পশ্চিমে মনোমুগ্ধকর ১৮ কিলোমিটার বেলাভূমি রয়েছে।
পর্যটকরা এখানকার নারিকেল বিথী, ফয়েজ মিয়ার বাগান, জাতীয় উদ্যান (ইকোপার্ক), শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, সীমা বৌদ্ধ বিহার ঘুরে দেখেন। এছাড়া কুয়াকাটার পশ্চিমে সমুদ্র পথে ফাতরার বন, গঙ্গামতি, লাল কাঁকড়ার চর, কাউয়ার চর, লেম্বুর চর, শুটকি পল্লীও ভ্রমণপিপাসুদের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে।
কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক ববলেন, ‘ইদ পরবর্তী সময়ে কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভিড় বাড়বে এমন ধারণা মাথায় রেখেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি।
’
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের এএসপি মো. আবদুল খালেক বলেন, ‘কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা সব পর্যটকদের সেবা দেওয়া ও আইনি সহায়তা দেওয়া আমাদের কর্তব্য। ইদ উপলক্ষে কুয়াকাটায় পর্যটক আসবে, তাই আমরা অনেক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। এজন্য বরিশালে অতিরিক্ত ট্যুরিস্ট পুলিশ চাওয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবে। চিকিৎসক দল, ফায়ার সাভির্স অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদসরাও তৈরি রয়েছেন।
’
কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার জানান, এবারের ইদুল ফিতরের লম্বা ছুটিতে অনেক বেশি পর্যটকদের আসবে তাই নিরাপত্তাসহ সবকিছু বিবেচনা করেই এবার ইদের ছুটিতে আগত পর্যটকদের সেবা দিতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোতালেব শরীফ বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে দুই বছরে কুয়াকাটায় ব্যবসা-বাণিজ্য একেবারে স্থবির হয়ে গিয়েছিল।
শীত মৌসুমে কিছু পর্যটকের আনাগোনা ছিল। এবারের ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটিতে অনেক বেশি পর্যটকদের আসবে এখানে। এরইমধ্যে ৮০ শতাংশ হোটেল মোটেল কক্ষ বুকিং হয়েছে।’
কুয়াকাটা ট্যুরিজমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমরা আশাবাদী পবিত্র ইদুল ফিতরে কুয়াকাটায় অনেক ট্যুরিস্টের আগমন হবে। আবার আগের মতো প্রাণ খুঁজে পাবে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, হাসি ফুটবে সব ব্যবসায়ীদের মনে।’
The post appeared first on Sarabangla .http://dlvr.it/SPcDwL
এই পোস্টটি শেয়ার করুন