রংপুর মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, মেজর জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোস্তাক এবং দেশের ভিতরে কিছু প্রতিবিপ্লবী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীচক্র,পাকিস্তানী মতাদর্শে বিশ্বাসী আমলাদের ষড়যন্ত্রের স্বীকার হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও তার পরিবার। একই সাথে ১৫ আগস্টে নিহত হন আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি ও আমার মা, আরজু মণি। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরিক্রমায় ক্ষমতা দখল করে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিল জিয়াউর রহমান। এরপর স্বাধীনতা বিরোধীচক্র, ‘জামায়াত ইসলাম এবং পাকিস্তানী মতাদর্শীদের শক্তিশালী করে তাদের গাড়িতে পতাকা ও ক্ষমতা তুলে দেয় বিএনপি।,
দেশের বড় শত্রু বিএনপি বলে মন্তব্য করেছেন পরশ। তিনি বলেন, তাই আমি বলি, বিএনপি এদেশের সবচেয়ে বড় শত্রু। তাঁরা কখনো, কোনদিন এদেশের ভাল চায় নাই। বঙ্গবন্ধুকে শুধু হত্যা নয়, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে পরাজিত করার জন্যই বিএনপি নামক সংগঠনটির সৃষ্টি। ৭৫-এর হত্যাকাণ্ড ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালিদের বিরুদ্ধে পরাজিতদের জঘন্যতম প্রতিশোধ।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) খিলগাঁও থানা, ৭৫নং ওয়ার্ড, ত্রিমোহনী কবরস্থান সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন বিএনপি যখনি ক্ষমতায় এসেছে এদেশের দুঃখী-দরিদ্র, বঞ্চিত মানুষদের আরও বঞ্চিত করেছে। বাংলাদেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে এটা তাদের বদলা। বিএনপি-জামাতের উদ্দেশ্যই হচ্ছে এদেশের মানুষকে নির্যাতন করে, এদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিত করা। তাহলেই তারা তাদের ৭১-এর পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে পারে এবং একই সাথে সেই সময় তাদের দেশবিরোধী কার্যকলাপের এবং নৃশংস কর্মকাণ্ডের অজুহাতও দিতে পরে। ৭১-এর অপকর্মের নৈতিক ভিত্তি পাবার এবং যুক্তি সৃষ্টি করার জন্য এইটা তাদের বাসনা এবং নীল নকশা। সুতরাং বিএনপির মুখে যখন এই সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র হনন করার অভিযোগ শোনা যায় তখন হাসি পায়। কারণ বিএনপি সেই দল যাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান একটা নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধান, জাতির পিতাকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করেছিল।
তিনি আরও বলেন, এখনো তারা সেই নীলনকশা অনুযায়ী এদেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে ক্ষমতায় আসার পায়তারা করছে। সম্প্রতি ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সাথে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের পিছনে তাদের ষড়যন্ত্রের প্রমাণও বেরিয়ে এসেছে। আসলে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের দুর্ভাগ্য যে যখনই এদেশের দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের সুযোগ এসেছে, তখনই স্বাধীনতা বিরোধীচক্র, জামায়াত ইসলাম, ‘বিএনপি ও পাকিস্তানী মতাদর্শীদের ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে তাদের ভাগ্য উন্নয়নের পথ পালটে দিয়ে এদেশকে একটা জঙ্গি ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে ঐ প্রতিবপ্লবী মহল।,
তিনি উপস্থিত সুবিধা বঞ্চিত ভাই-বোনদের উদ্দেশ্যে বলেন-আপনাদেরও সচেতন থাকতে হবে, যাতে করে আপনাদের ভাগ্য নিয়ে কোন স্বার্থান্বেষী মহল ছিনিমিনি খেলতে না পারে। আজকে আপনাদের সবার হাতে মোবাইল, ঘরে বিদ্যুৎ, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের চাহিদা নিশ্চিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা যদি আর একবার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পায়, তাহলে শুধু আপনাদের না, আপনাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মেরও উন্নত ভাগ্য নিশ্চিত করা হবে। তিনি এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি বলেন, রাজনীতির মূল লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য কি? নিজেদের ভাগ্যোন্নয়ন করা? নাকি যাদের নিয়ে আমরা রাজনীতি করি তাদের পাশে দাঁড়ানো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজের ভাগ্যের দিকে না তাকিয়ে সাধারণ খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করেছেন। এর জন্য তিনি দীর্ঘ জীবন জেল-জুলুম খেটেছেন। একইভাবে আমাদের প্রিয়নেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন এবং তিনি এদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ‘শেখ হাসিনার দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে ধাপে ধাপে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।,
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. নবী নেওয়াজ, মো. মোয়াজ্জেম হোসন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, মুহা. বদিউল আলম, ‘সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।,
এই পোস্টটি শেয়ার করুন