ইউপি নির্বাচন: গৌরীপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ
শাহজাহান কবির,গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি পরিষদ নির্বাচনে মাওহা ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী স্থানীয় তিন মেম্বার প্রার্থী ঋণ খেলাপী হওয়া সত্বেও যাচাই-বাছাইয়ে তাঁদের প্রার্থীতা বহালের অভিযোগ ওঠেছে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের পাল্টাপাল্টি মন্তব্যের কারনে বিষয়টি নিয়ে ধু¤্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ইউপি নির্বাচনে মাওহা ইউনিয়নে ৯নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদে প্রতিদ্ব›দ্বীতাকারী মোঃ বিল্লাল হোসেনের (তালা প্রতীক) নামে গৌরীপুর জনতা ও কৃষি ব্যাংক শাখায় মাঝারী কৃষি ঋণ রয়েছে মোট ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। একই ইউনিয়নে সংরক্ষিত মহিলা আসনে (ওয়ার্ড নং-১,২,৩) মেম্বার প্রার্থী পপি আক্তারের নামে জনতা ব্যাংক শাখায় ১ লাখ ১১ হাজার টাকা মাঝারী কৃষি ঋণ ও সংরক্ষিত মহিলা আসনে (ওয়ার্ড নং-৪,৫,৬) মেম্বার প্রার্থী আঙ্গুরা আক্তারের নামে ১ লাখ টাকা মাঝারী কৃষি ঋণ রয়েছে। নির্ধারিত সময়ে ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় উল্লেখিত প্রার্থীগণ সবাই ঋন খেলাপী হয়েছেন।
গৌরীপুর জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ফয়েজ আহমেদ খান রাসেল জানান, ২৯ নভেম্বর মনোনয়ন যাচাই বাছাই বোর্ডে উপস্থিত হয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে উল্লেখিত প্রার্থীদের ঋণ খেলাপীর বিষয়ে অবগত করেন তিনি। কিন্তু বিষয়টি আমলে না নিয়ে তাঁদের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এতে তিনি হতভম্ব হয়ে পড়েন জানান এই ব্যাংক কর্মকর্তা।
গৌরীপুর কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা সাঈদ হাসান জানান, উল্লেখিত বিল্লাল হোসেনের নামে কৃষি ব্যাংক শাখায় প্রায় ৪০ হাজার টাকা ঋণ রয়েছে। তিনি একজন ঋণ খেলাপী। মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের দিন বোর্ডে উপস্থিত হয়ে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে `ঋণ' খেলাপীর বিষয়ে অবগত করা হলে তিনি তা আমলে নেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাওহা ইউপি নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বীতাকারী উল্লেখিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপীর বিষয়ে মৌখিক অথবা লিখিতভাবে কেউ অবগত করেনি তাই তাঁদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সজল চন্দ্র সরকার জানান, ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সকল প্রার্থীদের তালিকাসহ উপজেলার সকল ব্যাংকে চিঠি দেয়া হলেও ব্যাংক কর্মকর্তাগণ তাদেরকে লিখিতভাবে ঋণ খেলাপীর তালিকা দেননি। `উল্লেখিত তিনজন প্রার্থী ক্ষুদ্র ঋণ খেলাপী তাই তাদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।'