বরিশাল-ভোলা-লক্ষীপুর সড়ক উন্নয়নে ব্যয় বাড়ছে ১৮৯ কোটি টাকা

ঢাকা: ব্যয় বাড়ছে বরিশাল-ভোলা-লক্ষীপুর জাতীয় মহাসড়ক উন্নয়ন কার্যক্রমের। এক্ষেত্রে ব্যয় বাড়ছে ১৮৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ মূল ব্যয়ের তুলনায় ৬০ দশমিক ৭৩ শতাংশ। সেই সঙ্গে এক বছর বাড়ছে মেয়াদও। এজন্য ‘বরিশাল-ভোলা-লক্ষীপুর জাতীয় মহাসড়কের বরিশাল (চরকাউয়া) হতে ভোলা (ইলিশা ফেরীঘাট) হয়ে লক্ষীপুর পর্যন্ত সড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এদিকে প্রকল্পটিতে বিরাজ করছে ধীরগতি। শুরু থেকে গত বছরের ডিসেম্বরে পর্যন্ত প্রায় আড়াই বছরে প্রকল্পটিতে খরচ ৭৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। বাস্তব অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ।,
সূত্র জানায়, প্রকল্পটির মূল ব্যয় ছিল ৩১২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এখন ১৮৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বাড়িয়ে মোট ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ৫০২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। যখন এটি অনুমোদন দেওয়া হয় তখন বাস্তবায়নকাল ছিল ২০১৯ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। এরপর ব্যয় বৃদ্ধি না করে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত একবছর মেয়াদ বাড়ানো হয়। কিন্তু এতেও কাজ শেষ হওয়ায় এবার প্রথম সংশোধনীতে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।,
তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় ৩৯ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার সড়ক যথাযথ মান ও প্রস্থে উন্নীতকরণের মাধ্যমে বরিশাল বিভাগীয় সদর, ভোলা এবং লক্ষীপুর জেলার সঙ্গে উন্নত সড়ক যোগাযোগ স্থাপনসহ প্রকল্প এলাকার জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে। ফলে প্রকল্পটির প্রথম সংশোধন প্রস্তাব অনুমোদন যোগ্য।,
পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর গত বছরের ২৯ জুন অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন শেষ করবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর।,
প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হচ্ছে, ২০ দশমিক ৫২৮ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ, ৬ দশমিক ৮ হাজার ২৮৯ লাখ ঘন মিটার সড়ক বাধেঁ মাটির কাজ, ১৮ দশমিক ৫ হাজার ১৫৭ কিলোমিটার পেভমেন্ট প্রশস্তকরণ, ১২ দশমিক ৯ হাজার ৫০৭ কিলোমিটার পেভমেন্ট উচুঁকরণ, ১২ দশমিক ২ হাজার ৭ কিলোমিটার পেভমেন্ট মজবুতিকরণ, ১০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার হার্ড সোল্ডার, ৩৭ দশমিক ৬ হাজার ২০৭ কিলোমিটার সার্ফেসিং, ১ দশমিক ৫০ কিলোমিটার রিজিড পেভমেন্ট, ১৯৪ মিটার আরসিসি বক্স কালভার্ট এবং আরসিসি রিটেইনিং ওয়াাল নির্মাণ করা হবে।,
প্রকল্প সংশোধনের কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, নতুন অঙ্গ অন্তর্ভুক্তিঃ ভূমি অধিগ্রহণ, ইউ ড্রেন নির্মাণ, আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল, ওভার হেড গ্যান্ট্রি, সীমানা পিলার এবং বৃক্ষ রোপনের প্রস্তাব করা হয়েছে।,
পরিমাণ ও ব্যয় বৃদ্ধি: হার্ড সোল্ডার নির্মাণ, রিজিড পেভমেন্ট, সসার ড্রেন, আরসিসি বক্স কালভার্ট, আরসিসি প্যালাসাইডিং, টো-ওয়াল, সাইন পোষ্ট, কংক্রিট গাইড পোষ্ট এবং ইউটিলিটি স্থানান্তরে ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।,
পরিমাণ বৃদ্ধি ও ব্যয় হ্রাস: সড়ক বাঁধ মাটির কাজ, পেভমেন্ট প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ এবং ট্রাফিক সাইন ব্যয় হ্রাসের প্রস্তাব করা হয়েছে।,
পরিমাণ ও ব্যয় হ্রাস: পেভমেন্ট প্রশস্তকরণ, পেভমেন্ট উচুকরণ, পেভমেন্ট মজবুতিকরণ, সার্ফেসিং, গ্রাস টাফিং এবং রোড মার্কিং করা হবে। এক্ষেত্রে কাজের পরিমাণ ও ব্যয় কমেছে।,
পরিমাণ অপরিবর্তিত তবে ব্যয় হ্রাস: কংক্রিট কিলোমিটার পোষ্ট, জেনারেল এন্ড সাইট ফ্যাসিলিটিজ এবং নির্মাণকালীন রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এক্ষেত্রে কাজের পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকলেও খরচ কমছে।,
from জাতীয় – Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment https://ift.tt/XbYslu7

