বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের- মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে শতভাগ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে চুক্তি হয়েছে। আগামী জানুয়ারি থেকে এটা কার্যকর হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মোজাম্মেল হক আরও বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। জেলা, উপজেলাসহ দেশের সব স্থানে তারা বিনামূল্যে শতভাগ চিকিৎসাসেবা পাবেন। এক্স-রেসহ সব পরীক্ষা ও ওষুধপত্র বিনামূল্যে দেওয়া হবে। এছাড়া তাদের ঘর করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমরা ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নির্দিষ্ট স্থান মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার হিসাবে সংরক্ষণ করতে চাই। যেখানে মানুষ গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারবে। সেখানে নানা সময়কার নানান ছবি থাকবে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব স্থানে যুদ্ধ হয়েছিল সেসব আমরা সংরক্ষণ করছি। বধ্যভূমিগুলোও আমরা সংরক্ষণ করছি।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, যারা ক্ষমতায় থাকাকালে চারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে, যাদের হাতে এতিমের টাকাও নিরাপদ নয়, তাদের কাছে জনগণের টাকা, রাষ্ট্রের সম্পদ কোনোভাবেই নিরাপদ থাকতে পারে না। সেই অপশক্তি আবার আমাদের পতাকাকে খামচে ধরতে চায়। তাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সংবর্ধনা ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সভাপতিত্ব করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ডিএসসিসি আওতাধীন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মনিরুল ইসলাম মনু, `কাজী ফিরোজ রশীদ, হাজি সেলিম, রাশেদ খান মেনন, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য জিন্নাতুল বাকিয়া প্রমুখ'।
তথ্য সূত্র: যুগান্তর