দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী নদী ভাঙ্গন অব্যাহত প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে
তোবারক হোসেন খোকন, দুর্গাপুর (নেত্রকোনা): বেরিবাঁধ না থাকায় ভাঙন আতংকে দিন পার করছে নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লগড়া ইউনিয়নের বড়ইকান্দি, ভূলিপাড়া, কামারখালী,রানীখ, বিজয়পুর সহ প্রায় ৮ গ্রামের মানুষ। ইতোমধ্যে নদীর ভাঙ্গনে বিলিন হতে চলেছে এই এলাকার নানা স্থাপনা। নতুন করে হুমকির মুখে রয়েছে মসজিদ, মন্দিরসহ, বিদ্যালয়, ঐহিত্যবাহী রানীখং ধর্মপল্লী। ভাঙ্গন রোধে দ্রæত ওই এলাকায় স্থায়ী বেরিবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিছেন স্থানীয়রা।
নদীভাঙ্গন নিয়ে সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পাহাড়ী নদী সোমেশ্বরীতে শুকনো মৌসুমে পানি না থাকলেও বর্ষায় এ নদী ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। প্রতি বছরই পাহাড়ী ঢলে নিম্ন এলাকা গুলো ব্যপক প্লাবিত হয়। ১৯৯১ সাল থেকে এ অঞ্চলে শুরু হয় নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা। আর তখন থেকেই নদী গর্ভে বিলীন হতে থাকে এই এলাকার বসতবাড়ি থেকে শুরু করে নানা স্থাপনা। এ ভাঙ্গন রোধে ২০১০ সালে ডাকুমারা এলাকার কিছু অংশে স্থায়ী বেরিবাঁধ নির্মাণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় ছিলো অনেক কম।
স্থানীয় বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক জানান, নদীর দুই পাড়ে স্থায়ী বেরিবাঁধ নির্মানের দাবীতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনায় আমরা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়েছি। এই সারা বছর শান্ত থাকলেও বর্ষায় সোমেশ্বরী নদীর পাহাড়ী ঢল পদ্মা-মেঘনার মত ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। তখন পানির চাপে নদীর দুই পাড়ে তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়। নদীর ভাঙ্গনে কামারখালী বাজার এলাকার প্রায় শতাধিক মানুষের বাড়ীঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বেধিবাঁধের ব্যবস্থা না করা গেলে সবকিছুই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নেত্রকোনা জেলার উপ-প্রকৌশলী মোঃ রহিদুল হোসেন খান জানান, অল্প দিনের ব্যবধানে অত্র এলাকায় পর পর বন্যা হওয়ায় পানির চাপে বেশ কিছু এলাকা ভেঙে গেছে। অত্র এলাকায় স্থায়ীবাঁধ নির্মানের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম বলেন, ইতোমধ্যে বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য কিছু বরাদ্দ এসেছে। এ দিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ করাও হয়েছে। কামারখালী এলাকার মসজিদ, মন্দির, বাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সকল স্থাপনা রক্ষায় স্থায়ী বাঁধ নির্মানের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় এমপি সদস্য মানু মজুমদার বলেন, ওই এলাকার নদী ভাঙ্গন সত্যি দুঃখ জনক। ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বেরিবাঁধ নির্মানের জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আমার জানামতে করোনার জন্য ফাইল আটকে আছে। অতি শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এই পোস্টটি শেয়ার করুন