করোনায় মৃতদের দাফন করছে কোয়ান্টাম
কোভিড-১৯ আক্রান্ত বা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে এমন দুই শতাধিক মরদেহ দাফন ও সৎকার করেছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।
গত ৭ এপ্রিল থেকে কোয়ান্টামের তিন শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক দিনরাত ২৪ ঘণ্টা এ কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। করোনা আতঙ্কে পরিবারের সদস্যরা যখন লাশ ফেলে পালিয়ে যাচ্ছেন বা ভয়ে আতঙ্কে দূরে থাকছেন তখন মরদেহের শেষ বিদায় জানাতে মানবিক মূল্যবোধ নিয়ে এগিয়ে আসেন প্রতিষ্ঠানটির একদল স্বেচ্ছাসেবক।
শুক্রবার (২২ মে) কোয়ান্টামের দাফন কার্যক্রমের সমন্বয়ক ছালেহ আহমেদ বলেন, ‘গত ৭ এপ্রিল থেকে আমরা দাফন কার্যক্রম শুরু করি। ২১ মে পর্যন্ত সারা দেশে আমরা ২০৪ জন মৃতদেহ দাফন ও সৎকার করেছি। এর মধ্যে ঢাকায় ১৭১ জন ও বাকিরা রাজশাহী, বরিশাল, বগুড়া, রংপুর, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। রাজধানীর বাইরে সারা দেশকে ১৮টি জোনে ভাগ করে আমাদের দাফন কার্যক্রম চলছে। ধর্মীয় বিধান মেনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষণ অনুযায়ী দাফন বা সৎকারের কাজ করে যাচ্ছি আমরা। শুধু মুসলিমই নয়, সনাতন ধর্মালম্বীদের জন্যেও রয়েছে আমাদের বিশেষ দল। এছাড়া, নারীদের দাফনে সহযোগিতা করছেন ১২ জনের একটি নারী দল।’
কোয়ান্টাম জানায়, গত ৭ এপ্রিল থেকে দেড় মাসে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পুলিশ বাহিনী, আনসার সদস্য, সচিব, সাংবাদিক, ব্যাংকার, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ নানা পেশার মানুষকে দাফন ও সৎকার করেছে কোয়ান্টাম।
জানা গেছে, একটি দাফন প্রক্রিয়ায় প্রায় ৩০ রকমের উপকরণ ব্যবহার করে কোয়ান্টাম। দাফন কাজে সুরক্ষার জন্যে ব্যবহার করা হয় অ্যালকোহলসহ কয়েক ধরনের জীবাণুনাশক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী এ দাফন কার্যক্রম চলছে। কার্যক্রমের পুরো প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত পিপিই, মাস্ক, সেফটি গ্লাস, ফেস শিল্ড, সার্জিক্যাল হ্যান্ড গ্লাভস, হেভি গ্লাভস, নেক কভার, মরদেহের কাফনের কাপড়, মরদেহ বহনের জন্যে বিশেষ বডি ব্যাগসহ সুরক্ষার জন্যে কয়েক ধরনের জীবাণুনাশক পুরোটাই কোয়ান্টামের নিজস্ব-অর্থায়নে স্বেচ্ছাসেবায় পরিচালিত হচ্ছে।
এই পোস্টটি শেয়ার করুন